ঢাকা,সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র সহ তিন সন্ত্রাসী গ্রেফতার

chakaria-picture-14-10-2016-2chakaria-pic-arms-14-10-16মিজবাউল হক, চকরিয়া :

চকরিয়ার উপকূলীয় এলাকায় কারেন্ট জাল ধরতে গিয়ে একটি চিংড়ি ঘের থেকে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে পুলিশ। যেন কেচো খুড়তে সাপ বেরিয়ে আসার মতো হয়েছে। ওইসময় তিন ঘের কর্মচারীকে গ্রেফতার করেছে। আজ শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত উপজেলার উপকূলীয় ইউনিয়ন পশ্চিম বড়ভেওলা ইউনিয়নের দরবেশকাটাস্থ লম্বাখালীর একটি ঘেরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালিয়ে এসব অস্ত্র উদ্ধার করে।

14721762_295219107531118_1673026730345216775_nচকরিয়া নৌ-পুলিশ ফাড়ির আইসি এসআই মো: ইসমাইল হোসেন জানান, পশ্চিম বড়ভেওলা ইউনিয়নের লম্বাখালী এলাকার মাওলানা শহিদুল ইসলামের মালিকানাধীন একটি চিংড়ি ঘেরের খামার বাড়িতে ডাকাত ও সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল জড়ো হওয়ার খবর পেয়ে বিষয়টি চকরিয়া থানা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সাহেদুল ইসলামের নেতৃত্বে চকরিয়া থানা পুলিশ ও বদরখালীর নৌপুলিশ দুইভাগে বিভক্ত হয়ে সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত অভিযান চালায়। এসময় লম্বাখালীস্থ একটি চিংড়ি ঘেরের খামার বাড়ি ঘেরাও করে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলা বারুদ সহ তিন সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার করা হয়েছে দেশীয় তৈরী একটি পিস্তল, দুটি কাটা বন্দুক, ৩টি লম্বা বন্দুক, ২৬ রাউন্ড গুলি, একটি রামদা, একটি চুরি, একটি গুলির বেল্ট, ৪টি মোবাইল সেট। ওইসময় অভিযানের টের পেয়ে একই ঘেরের অপর খামার বাড়ি থেকে দুটি লম্বা বন্দুক ছড়াখালে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। ফেলে দেওয়া অস্ত্র গুলো একঘন্টা ধরে ছড়াখালের পানিতে খোজাখুজি করেও পাওয়া যায়নি বলে জানান পুলিশ। আটককৃত সন্ত্রাসীরা হলেন, পশ্চিম বড়ভেওলার ইউনিয়নের দরবেশকাটা গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে আবু ওবায়েদ (২৮) একই এলাকার মৃত ফজল করিমের ছেলে আনিসুল মোস্তফা (৫৫) ও মহেশখালী উপজেলার কালামাছড়া ইউনিয়নের নয়াপাড়ার গ্রামের মৃত সালেহ আহমদের ছেলে গিয়াস উদ্দিন (৪৪)।

স্থানীয়রা জানান, চিংড়িঘেরের খামার বাড়িতে সশস্ত্র সন্ত্রাসী জড়ো হয়ে দিন ও রাতে বিভিন্ন ঘের থেকে তারা মালামাল সহ মাছ লুট করে থাকে। গতকাল শুক্রবার একটি খামারে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ১০-১২জন সন্ত্রাসী ও ডাকাত জড়ো হয়। পুলিশ আসার খবর পেয়ে বেশির ভাগ সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলেও খামার ঘেরাও করে তিনজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

চকরিয়া থানার ওসি জহিরুল ইসলাম খান জানান, উদ্ধারকৃত অস্ত্রসহ আটক সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

পাঠকের মতামত: